.

প্রিয় কবি

অঞ্জন সরকার জিমি অমিত চক্রবর্তী অমিতাভ দাশ গুপ্ত অশোক দেব আন্দালীব আবিদ আজাদ আবুল হাসান আল মাহমুদ আলতাফ হোসেন আহসান হাবীব খোন্দকার আশরাফ হোসেন জয় গোস্বামী জীবনানন্দ দাশ টোকন ঠাকুর তানিম কবির দীপন চক্রবর্তী নবনীতা দেবসেন নির্মলেন্দু গুন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পূর্ণেন্দু পত্রী ফয়সল রাব্বি ফারাহ সাঈদ বিনয় মজুমদার বুদ্ধদেব বসু ব্রাত্য রাইসু ভাস্কর চক্রবর্তী মজনু শাহ মন্দাক্রান্তা সেন মহাদেব সাহা মাসুদ খান মুহাম্মদ মরিয়ম মৌ ভট্টাচার্য রণজিৎ দাশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রিফাত হাসান রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ শক্তি চট্টোপাধ্যায় শঙ্খ ঘোষ শহীদ কাদরী শোয়েব শাদাব শ্বেতা চক্রবর্তী সমর সেন সমুদ্র গুপ্ত সরকার আমিন সাইয়েদ জামিল সিকদার আমিনুল হক সুকান্ত ভট্টাচার্য সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সুনীল সাইফুল্লাহ সুবোধ সরকার সুমন রহমান হুমায়ুন আজাদ হুমায়ূন আহমেদ হেলাল হাফিজ

কবির উদ্দেশে

কবির উদ্দেশে

আলতাফ হোসেন




কবি, তোমার কবিতা পড়েই আমার সন্দেহ হয়েছিল তুমি লিখতে

চেয়েছিলে এক আর হয়ে গেছে আর। তোমার চামেলি বসেনি ঠিক

জায়গায়, চাবুক কেটে তুমি চিবুক বসিয়ে দিয়েছ, চা লিখতে তুমি 

লিখেছ কফি, কালো কেটে তুমি কেন করলে গো ভালো, কাছাকাছি

দু-মাত্রারই বলে? না কি ভয় পাও, কেউ বুঝবে না? প্রতিষ্ঠান ক্ষেপে

যাবে বলে? কমলা লিখলে আরেক কবির অনুকরন মনে হতে পারে

বলেই কি কলা লিখেছিলে? আধুনিকের চেয়েও আধুনিক তোমাকে মনে

হবে না বলে তুমি অচলিত, অপ্রচলিত অভিধান, লোকগাঁথা, মিথ থেকে

শব্দ, অনুষঙ্গ ধার করেছিলে? তোমার পা ওপরে তুলে দুই হাতে

হেঁটেছিলে? আর কত বলব কবি! কবি তোমার কবিতা পড়েই আমার

সন্দেহ হয়েছিল তুমি ফিরে লিখতে গিয়ে তোমার কবিতাটিকে নিখুঁত

মানে নষ্ট করতে চাইবে, ধ্বংস করে ফেলতে চাইবে একটুও না বুঝে,

তাই তো তোমার খসড়া দেখতে চাইছি, তোমার কবিতার খসড়া,

তোমার খসড়া দেখতে চাচ্ছি গো কবি যে ভাবে যেখানে তুমি শুরু করেছিলে।