এইদেশে বৃষ্টি হয়; রাইট!
- তানিম কবির
তবে আমি বৃষ্টির কবিতা লিখবো,
এটা বলতে পারি।
একদিন, মানে কোনও একদিন
বৃষ্টি থেমে গেলে মনে হয় যেমন ‘ও আচ্ছা!’
সেরকম হুট করে টের পাওয়ার অঙ্গভঙ্গি সহকারে
বৃষ্টির কবিতা লেখা দরকার।
যেহেতু ‘এইদেশে বৃষ্টি হয়’—
আর ছাতার মিস্তিরিরা ভোট দিতে যায়;
মেরামত করা কালো ছাতা নিয়ে তাই,
বৃষ্টির কবিতা লিখতে চাই আমিও...
যতদূর মনে পড়ে,
টেবিল ফ্যানের ঝড়ো বাতাসের সামনে দাঁড়িয়ে
কেউ শুকাইতে দিছিলো নিজেরে— সে কি শুকিয়েছিলো?
এই প্রশ্নটিকেই আজ বড় করে দেখে যদি,
ততধিক গুরুত্বে আনি যদি সেইসব আধভাঙা মন্দির;
ভাঙা তবু গল্পের প্রয়োজনে যারা
গ্রামেতে বেড়াতে আসা ছেলে আর মেয়েটিকে
আশ্রয় দিয়েছিলো উষ্ণ-সরস...
এমনও ভাবনা আসে যে,
বৃষ্টি বিষয়ে কোনো কবিতায়
কতবার ‘বৃষ্টি’ শব্দটাকে বলা-কওয়া যাবে?
একই শব্দের ঘন ঘন ব্যবহার
যদি বা ভালো না লাগে খান সাহেবের!
এই ফর্ম পুরানা, বলে দেয় যদি—
যদি প্রকাশিত হয়ে পড়ে এই,
আশিপরবর্তী কবিতার ‘মেইনস্ট্রিমে’
আমার নামটি আর নেই!
বৃষ্টির এ আবেগ সংবরণে ব্যর্থ আমি—
যদি প্রমাণিত হয়...
আহারে সে প্রমাণ আমি,
টিসি নিয়া বিমর্ষ রেইনকোট গায়ে পরে
কোথায় যে হারাবো তখন।
ধরি গ্রামে চলে যাবো—
উপজেলা হাসপাতালের বেডে শুয়ে রবো,
শুয়ে শুয়ে তাকাবো বারান্দা অভিমুখে,
বারান্দাজুড়ে ব্যাঙ শুশ্রুষাকামী ঠ্যাং
মেলে তারা লাফ দিতে পারে।
রাস্তায় জমে থাকা পানি উপর দিয়ে
ফনিক্স সাইকেল এক চলে গেলে পরে,
আমার ভিতরে কিছু তরঙ্গায়িত—
এই ভীত অনুমান ভিজে-টিজে যাবে হয়তো বা...