কথোপকথন ২১
— পূর্ণেন্দু পত্রী
— পূর্ণেন্দু পত্রী
- তোমাদের ওখানে এখন লোডশেডিং কী রকম?
- বোলো না। দিন নেই, রাত নেই, জ্বালিয়ে মারছে।
- তুমি তখন কী করো?
- দরজা খুলে দিই। জানলা খুলে দিই। পর্দা খুলে দিই।
আজকাল হাওয়াও হয়েছে তেমন ফন্দিবাজ।
যেমনি অন্ধকার, অমনি মানুষের
ত্রিসীমানা ছেড়ে দৌড়।
আজকাল হাওয়াও হয়েছে তেমন ফন্দিবাজ।
যেমনি অন্ধকার, অমনি মানুষের
ত্রিসীমানা ছেড়ে দৌড়।
- তুমি তখন কী করো?
- গায়ে জামা-কাপড় রাখতে পারি না।
সব খুলে দিই, চোখের চশমা, চুলের বিনুনি, বুকের আঁচল, লাজ-লজ্জা সব।
সব খুলে দিই, চোখের চশমা, চুলের বিনুনি, বুকের আঁচল, লাজ-লজ্জা সব।
- টাকা থাকলে তোমার নামে নতুন ঘাট বাঁধিয়ে দিতুম কাশী মিত্তিরে
এমন তোমার উথাল-পাতাল দয়া। তুমি অন্ধকারকে সর্বস্ব, সব অগ্নিস্ফুলিঙ্গ
খুলে দিতে পার কত সহজে।
আর শুভঙ্কর মেঘের মত একটু ঝুঁকলেই
কী হচ্ছে কি?
শুভঙ্কর তার খিদে-তেষ্টার ডালপালা নাড়লেই
কী হচ্ছে কি?
শুভঙ্কর রোদে-পোড়া হরিণের জিভ নাড়ালেই
কী হচ্ছে কি?
পরের জন্মে দশদিগন্তের অন্ধকার হবো আমি।
আর শুভঙ্কর মেঘের মত একটু ঝুঁকলেই
কী হচ্ছে কি?
শুভঙ্কর তার খিদে-তেষ্টার ডালপালা নাড়লেই
কী হচ্ছে কি?
শুভঙ্কর রোদে-পোড়া হরিণের জিভ নাড়ালেই
কী হচ্ছে কি?
পরের জন্মে দশদিগন্তের অন্ধকার হবো আমি।