.

প্রিয় কবি

অঞ্জন সরকার জিমি অমিত চক্রবর্তী অমিতাভ দাশ গুপ্ত অশোক দেব আন্দালীব আবিদ আজাদ আবুল হাসান আল মাহমুদ আলতাফ হোসেন আহসান হাবীব খোন্দকার আশরাফ হোসেন জয় গোস্বামী জীবনানন্দ দাশ টোকন ঠাকুর তানিম কবির দীপন চক্রবর্তী নবনীতা দেবসেন নির্মলেন্দু গুন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পূর্ণেন্দু পত্রী ফয়সল রাব্বি ফারাহ সাঈদ বিনয় মজুমদার বুদ্ধদেব বসু ব্রাত্য রাইসু ভাস্কর চক্রবর্তী মজনু শাহ মন্দাক্রান্তা সেন মহাদেব সাহা মাসুদ খান মুহাম্মদ মরিয়ম মৌ ভট্টাচার্য রণজিৎ দাশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রিফাত হাসান রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ শক্তি চট্টোপাধ্যায় শঙ্খ ঘোষ শহীদ কাদরী শোয়েব শাদাব শ্বেতা চক্রবর্তী সমর সেন সমুদ্র গুপ্ত সরকার আমিন সাইয়েদ জামিল সিকদার আমিনুল হক সুকান্ত ভট্টাচার্য সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সুনীল সাইফুল্লাহ সুবোধ সরকার সুমন রহমান হুমায়ুন আজাদ হুমায়ূন আহমেদ হেলাল হাফিজ

কথোপকথন ২১

কথোপকথন ২১
পূর্ণেন্দু পত্রী
- তোমাদের ওখানে এখন লোডশেডিং কী রকম?
- বোলো না। দিন নেই, রাত নেই, জ্বালিয়ে মারছে।
- তুমি তখন কী করো?
- দরজা খুলে দিই। জানলা খুলে দিই। পর্দা খুলে দিই।
আজকাল হাওয়াও হয়েছে তেমন ফন্দিবাজ।
যেমনি অন্ধকার, অমনি মানুষের
ত্রিসীমানা ছেড়ে দৌড়।
- তুমি তখন কী করো?
- গায়ে জামা-কাপড় রাখতে পারি না।
সব খুলে দিই, চোখের চশমা, চুলের বিনুনি, বুকের আঁচল, লাজ-লজ্জা সব।
- টাকা থাকলে তোমার নামে নতুন ঘাট বাঁধিয়ে দিতুম কাশী মিত্তিরে
এমন তোমার উথাল-পাতাল দয়া। তুমি অন্ধকারকে সর্বস্ব, সব অগ্নিস্ফুলিঙ্গ
খুলে দিতে পার কত সহজে।
আর শুভঙ্কর মেঘের মত একটু ঝুঁকলেই
কী হচ্ছে কি?
শুভঙ্কর তার খিদে-তেষ্টার ডালপালা নাড়লেই
কী হচ্ছে কি?
শুভঙ্কর রোদে-পোড়া হরিণের জিভ নাড়ালেই
কী হচ্ছে কি?
পরের জন্মে দশদিগন্তের অন্ধকার হবো আমি।