.

প্রিয় কবি

অঞ্জন সরকার জিমি অমিত চক্রবর্তী অমিতাভ দাশ গুপ্ত অশোক দেব আন্দালীব আবিদ আজাদ আবুল হাসান আল মাহমুদ আলতাফ হোসেন আহসান হাবীব খোন্দকার আশরাফ হোসেন জয় গোস্বামী জীবনানন্দ দাশ টোকন ঠাকুর তানিম কবির দীপন চক্রবর্তী নবনীতা দেবসেন নির্মলেন্দু গুন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পূর্ণেন্দু পত্রী ফয়সল রাব্বি ফারাহ সাঈদ বিনয় মজুমদার বুদ্ধদেব বসু ব্রাত্য রাইসু ভাস্কর চক্রবর্তী মজনু শাহ মন্দাক্রান্তা সেন মহাদেব সাহা মাসুদ খান মুহাম্মদ মরিয়ম মৌ ভট্টাচার্য রণজিৎ দাশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রিফাত হাসান রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ শক্তি চট্টোপাধ্যায় শঙ্খ ঘোষ শহীদ কাদরী শোয়েব শাদাব শ্বেতা চক্রবর্তী সমর সেন সমুদ্র গুপ্ত সরকার আমিন সাইয়েদ জামিল সিকদার আমিনুল হক সুকান্ত ভট্টাচার্য সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সুনীল সাইফুল্লাহ সুবোধ সরকার সুমন রহমান হুমায়ুন আজাদ হুমায়ূন আহমেদ হেলাল হাফিজ

পাখি, হুস

পাখি, হুস
জয় গোস্বামী


আমার বাড়িতে কোন কাক চিল সকালে বসে না 
মেঘ করুক, বৃষ্টি হোক, রোদ ছুটুক হাসিখুশি মনে
এমন কি বসন্তকাল কুলো দিয়ে হাওয়া করে যাক
কান পাতার উপায় নেই! কেননা তখন যুদ্ধ চলে
মেয়েকে স্কুলের জন্যে তৈরি করা, এবং পড়ানো 
আমার ভুল বাজার, আমার চানের গরমজল
নিজের ঠাকুরঘর, স্নান, বা আনাজপাতি কাটা 
মাঝখানে কুকারের সিটি আর দেরি করে আসা দুধঅলার 
একচিলতে ফাঁক দিয়ে ছুটে ছুটে, দম চেপে রেখে 
এঘর ওঘর করতে পায়ে লেগে গেলাস ওল্টালো 
এই ভাঙল ভুল জায়গায় রাখা কাপ। 
কে রেখেছে? তুমি, তুমি! না, না, তুমি! চাপান উতোর । 
- 'ফিতেটা বাঁধিস নি কেন?' - 'কলমটা কোথায় রাখলে?' 
                     - 'না, আমার চিরুনি নেবে না!'
এই করতে করতে রোজ পানিপথের যুদ্ধ চলে 
কাক চিল কাছেও ঘেঁষে না।

কেবল কোত্থেকে যেন দু-তিনটে সাহসী চড়াই 
ফ্ল্যাটবাড়ির দমচাপা সরু বারান্দায় 
মা মেয়ের হাতে তৈরি খানতিনেক টবের বাগানে
নেমে হুটোপুটি করে, পোকা খুঁজে পায়, ফুল ছেঁড়ে  - 
বুকুনের হাততালিতে 'ফুড়ুৎ' ভেঙচিয়ে 
উড়ে যায়...
দেখতে দেখতে দশটা বাজে। প্রতিদিনকার তুলকালাম 
ঝগড়া মুলতবি রেখে, আমরা সপরিবারে 
সগর্বে বাস ধরতে যাই - 
মাথার ওপরে ঘোরা কাক-চিলরাও 
এ ওকে জানান দেয়ঃ 'দ্যাখ, ভাই, দ্যাখ - '
সত্যিই দেখবার মত ঃ
পাঞ্জাবি ও ঝোলাসহ আমি রোগা দাঁড়কাক, 
পিছনে স্কুল ব্যাগ হাতে গৃহিণী বিরক্ত চিল, 
লাফাতে লাফাতে সামনে 
                বুকুন চড়াই।"