.

প্রিয় কবি

অঞ্জন সরকার জিমি অমিত চক্রবর্তী অমিতাভ দাশ গুপ্ত অশোক দেব আন্দালীব আবিদ আজাদ আবুল হাসান আল মাহমুদ আলতাফ হোসেন আহসান হাবীব খোন্দকার আশরাফ হোসেন জয় গোস্বামী জীবনানন্দ দাশ টোকন ঠাকুর তানিম কবির দীপন চক্রবর্তী নবনীতা দেবসেন নির্মলেন্দু গুন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পূর্ণেন্দু পত্রী ফয়সল রাব্বি ফারাহ সাঈদ বিনয় মজুমদার বুদ্ধদেব বসু ব্রাত্য রাইসু ভাস্কর চক্রবর্তী মজনু শাহ মন্দাক্রান্তা সেন মহাদেব সাহা মাসুদ খান মুহাম্মদ মরিয়ম মৌ ভট্টাচার্য রণজিৎ দাশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রিফাত হাসান রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ শক্তি চট্টোপাধ্যায় শঙ্খ ঘোষ শহীদ কাদরী শোয়েব শাদাব শ্বেতা চক্রবর্তী সমর সেন সমুদ্র গুপ্ত সরকার আমিন সাইয়েদ জামিল সিকদার আমিনুল হক সুকান্ত ভট্টাচার্য সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সুনীল সাইফুল্লাহ সুবোধ সরকার সুমন রহমান হুমায়ুন আজাদ হুমায়ূন আহমেদ হেলাল হাফিজ

গায়ে হলুদ


গায়ে হলুদ
- সুবোধ সরকার
বইঃ ভালো জায়গাটা কোথায়? (১৯৯৯) 

চিলেকোঠার দরজা বন্ধ ছিল তিনদিন
তিনদিন মেয়েটা স্নান করেনিভাত খায়নি
আজ ভোরবেলা দরজা খুলে যেতেই দেখা গেল
সে নগ্ন হয়ে চেয়ারে বসে বিভূতিভূষণ পড়ছে।

মা এলেন মেয়েকে দেখতে
এ কী করেছিস,ওঠ, দুটো মুখে দিবি
উনিশ বছরের খোলা উদ্ধত শরীর
মায়ের মুখের উপর দাঁড়িয়ে বলল, আমাকে ছোঁবে না
মানুষের স্পর্শ আমার ভালো লাগে না।
মা নেমে গেলেন নীচে।

সিঁড়ি দিয়ে বাবা উঠছিলেন।
মা বললেনতুমি যেও না
কেনডুকরে উঠল মেয়ের মা
তুমি যেও নাযেও নাযেও না
পৌরুষে গিয়ে পড়ল ঢিল
এক চিলতে একটা মেয়েতার এতো জেদ। দেখি তো।

তিনি যা দেখলেন তা তিনি দেখতে চাননি কোনও দিন
যেন এক্ষুনি চোখ পুড়ে যাবে
কিন্তু মেয়েরও যে দুটো চোখ আছেসে দুটোও পুড়ছে
বাবা হয়েও সেটা তিনি বুঝতে পারলেন না
গর্জে উঠলেনজামা পরো তাকাতে পারছিনা
সাজোরে থাপ্পড় মেরে, বিভূতিভূষণ কেড়ে ফেলে দিয়ে
তিনি নেমে এলেন নীচের ঘরে।
 নীচের ঘরে জমজমাটলোকজনআত্মীয়স্বজন
দিকে কানিশের কাছে এসে দাঁড়িয়েছে মেয়েটি
যার জীবন থেকে সমস্ত হলুদ মুছে গেছে
আজ তার গায়ে হলুদ।
              #